নৌপথে বাংলাদেশ-ত্রিপুরা বাণিজ্য শুরু সেপ্টেম্বরে  

 

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের পূর্বাঞ্চলের রাজ্য ত্রিপুরার প্রথমবারের মতো নৌপথে বাণিজ্যের দ্বার উন্মোচিত হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের দাউদকান্দি ও ত্রিপুরার সোনামুড়ার মধ্যে অভ্যন্তরীণ নৌপথ চালু হচ্ছে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। সেখান থেকে সড়কপথে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় যাবে পণ্যের চালান। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব তার ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানান।

দ্য হিন্দুর খবরে বলা হয়েছে, এটি পরীক্ষামূলকভাবে মূলত দুই দেশের মধ্যে সরাসরি পণ্য আমদানি-রপ্তানির রুট হিসেবে ব্যবহার করা হবে। কোনো ট্রানজিট বা ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা নয়।

বাংলাদেশের কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে গোমতী নদীপথে ত্রিপুরার সিপাহিজলা জেলার সোনামুড়া পর্যন্ত ৯৩ কিলোমিটার দীর্ঘ নৌপথে পণ্য পরিবহন হবে। সারাবছর পর্যাপ্ত পানি থাকার কারণেই গোমতী নদীকে বেছে নেওয়া হয়েছে নৌ বাণিজ্যপথ হিসেবে।

দাউদকান্দি থেকে গোমতী নদী দিয়ে মুরাদনগর, দেবীদ্বার, ব্রাহ্মণপাড়া, বুড়িচং, কুমিল্লা সদর ও বিবিরবাজার হয়ে সোনামুড়ায় পণ্য নেওয়া হবে। সেখান থেকে সড়কপথে পণ্য ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় যাবে।

বুধবার ফেসবুকে নিজের ওয়ালে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব এক বার্তায় উল্লেখ করেন, ‘ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে চলেছে ত্রিপুরা। সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে গোমতী নদীপথে সোনামুড়া থেকে বাংলাদেশের কুমিল্লার দাউদকান্দি পর্যন্ত প্রথম পরীক্ষামূলক নৌ চলাচল শুরু হতে যাচ্ছে।’ এ সফরেই ঢাকা থেকে সোনামুড়ায় বার্জে করে ত্রিপুরায় পৌঁছাবে ৫০ মেট্রিক টন সিমেন্ট। ত্রিপুরায় এর আগে কখনও জাহাজে কোনো পণ্য যায়নি।

গত মে মাসে ঢাকায় ভারত-বাংলাদেশ প্রটোকল যাত্রাপথের অংশ হিসেবে ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ ও বাংলাদেশের নৌ সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীর মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির অংশ ছিল দাউদকান্দি-সোনামুড়া নৌপথ।

দীর্ঘ এ নদী পথের ৮৯ দশমিক ৫ কিলোমিটার অংশ বাংলাদেশে এবং বাকি পথ ভারতে। ভারত-বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন প্রকল্পের জন্য গোমতী নদীর ওপর গত ৪ জুলাই উদ্বোধন করা হয় এক ভাসমান জেটির। এ নৌপথে ৫০ টন পণ্য বহনকারী ছোট নৌকা চলাচল করতে পারবে বলে জানা গেছে।

 

টাইমস/এসই/এইচইউ

Share this news on: